পুরাণ (পাঠ ১)

সপ্তম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - হিন্দুধর্ম শিক্ষা ধর্মগ্রন্থ | - | NCTB BOOK
74
74

হিন্দুধর্মের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে পুরাণ অন্যতম। 'পুরাণ' শব্দটির অর্থ হচ্ছে পুরাতন বা প্রাচীন। কিন্তু এখানে পুরাণ শব্দটিকে বিশেষ অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। পুরাণ হচ্ছে বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ এক শ্রেণির ধর্মগ্রন্থ। সেখানে সৃষ্টি ও দেবতাদের উপাখ্যান, ঋষি ও রাজাদের বংশ, পৃথিবীর ভৌগোলিক পরিচিতি, তীর্থমাহাত্ম্য, দান, ব্রত, তপস্যা, আয়ুর্বেদ (চিকিৎসাশাস্ত্র) প্রভৃতির মধ্য দিয়ে বেদভিত্তিক হিন্দুধর্ম ও সমাজের নানা কথা বলা হয়েছে। পুরাণ বলতে একটিমাত্র গ্রন্থ বোঝায় না। পুরাণ বহু গ্রন্থের সমষ্টি। সুতরাং পুরাণকে শুধু মহাভারতের রচয়িতা মহর্ষি কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাসদেব পুরাণসমূহেরও রচয়িতা। গল্প বলার ছলে পুরাণগুলো রচিত। মানুষ গল্প শুনতে ভালোবাসে। পুরাণে গল্প শোনানো হয়েছে। সে গল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে ধর্মজীবন ও নৈতিক শিক্ষা দেওয়া। মানুষকে কল্যাণকর সুন্দর জীবন সম্পর্কে গল্পের মাধ্যমে উপদেশ ও নীতি শিক্ষা প্রদান পুরাণের মূল বিষয়বস্তু। পুরাণের সংখ্যা অনেক। তবে প্রধান প্রধান পুরাণের সংখ্যা আঠার। এই আঠারটি পুরাণ হচ্ছে-(১) ব্রহ্ম পুরাণ (২) পদ্ম পুরাণ (৩) বিষ্ণু পুরাণ (৪) শিব পুরাণ বা বায়ু পুরাণ (৫) ভাগবত পুরাণ (৬) নারদ পুরাণ (৭) মার্কণ্ডেয় পুরাণ (৮) অগ্নি পুরাণ (৯) ভবিষ্য পুরাণ (১০) ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ (১১) বরাহ পুরাণ (১২) লিঙ্গ পুরাণ (১৩) স্কন্দ পুরাণ (১৪) বামন পুরাণ (১৫) কূর্ম পুরাণ (১৬) মৎস্য পুরাণ (১৭) গরুড় পুরাণ (১৮) ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ। এ পুরাণগুলো অনুসরণে কিছু উপ-পুরাণও রচিত হয়েছে। যেমন- বিষ্ণু ধর্মোত্তর পুরাণ।

পুরাণের মধ্যে তিনজন দেবতার মাহাত্ম্য বিশেষভাবে প্রকাশিত হয়েছে। এঁরা হলেন ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব।

একক কাজ: পুরাণসমূহের নাম লেখ।

নতুন শব্দ: মার্কণ্ডেয়, ব্রহ্মবৈবর্ত, বরাহ, স্কন্দ, বামন, কূর্ম, গরুড়।

Content added By
টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion
;